ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সাথে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকের পর নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক শেষে বঙ্গভবনের সামনে সাংবাদিকদের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ''তিন বাহিনী প্রধানদের সাথে আমাদের দীর্ঘসময় বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ছাত্র-নাগরিকদের পক্ষ থেকে যে সরকার প্রস্তাব করা হয়েছে, সেই সরকারই চূড়ান্ত হবে বলে নিশ্চয়তা আমরা পেয়েছি।''
''আমরা প্রাথমিকভাবে সেই সরকারের প্রধান হিসাবে সর্বজন গ্রহণযোগ্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। আজকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সম্মত হয়েছেন।''
''আমরা একটা তালিকা দিয়েছি। এই তালিকা নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের সাথে আলোচনা করে এটা চূড়ান্ত করা হবে এবং খুব দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চূড়ান্ত করা হবে।''
এর আগে রাষ্ট্রপতি কার্যালয় জানিয়েছে, বঙ্গভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব করা হয়। রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তাদের প্রস্তাবের সাথে একমত পোষণ করেন।''
''রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ সংকট উত্তরণে যত দ্রুত সম্ভব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা জরুরি। উপদেষ্ঠামন্ডলীর অন্যান্য সদস্য মনোনয়ন এর ক্ষেত্রে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেন। এছাড়া তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মনোনয়ন দেয়ার পরামর্শ দেন। রাষ্ট্রপতি সংকট উত্তরণে দেশবাসীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান,'' জানানো হয়েছে কার্যালয় থেকে।
বৈঠকে ১৩ সমন্বয়ক বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল এবং অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান রয়েছেন। বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শিক্ষার্থীরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে অধ্যাপক মো. ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছিল। এতে সম্মত হয়েছেন অধ্যাপক ইউনূসও।
ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদ বিবিসিকে জানিয়েছেন, মি. ইউনূস এখন প্যারিসে রয়েছেন। খুব শিগগিরই ঢাকায় ফিরে আসবেন।